October 8, 2025, 5:13 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গত আগস্টে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরুর পর ২১ কার্যদিবসে দেশে এসেছে ৭ হাজার ১০০ টন চাল। আমদানিকারকদের দাবি, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আরও কয়েকটি চালবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক ফয়সাল আহসান সজীব মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমদানি করা চালের বেশিরভাগই মোটা জাতের, যা প্রতি টন ৫৬০ ডলারে আমদানি হচ্ছে।
তার তথ্য মতে, মোট ৭৫টি চালানের বিপরীতে ২০৩টি ট্রাকে করে চাল এসেছে বেনাপোল বন্দরে। এসব চাল ছাড়করণের কাজ পরিচালনা করছে চার থেকে পাঁচটি সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) এজেন্ট।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। পরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলে আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন চালান আসতে শুরু করেছে। ২১ আগস্ট থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ দিনে ২১ কার্যদিবসে ৭ হাজার ১০০ টন চাল আমদানি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে চালবাহী আরও বেশকিছু ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, বর্তমানে বন্দরে চালের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, পূজার ছুটির কারণে এক সপ্তাহের মতো চাল আমদানি বন্ধ থাকবে। তবে ছুটি শেষে আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও নতুন চালান আসবে।
চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার দেশের সব বন্দর দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।
উপ-পরিচালক ফয়সাল আহসান সজীব আবারও জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে চালবাহী বেশকিছু ট্রাক এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তার মতে, দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানির ফলে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, আমদানি অব্যাহত থাকলে কেজি প্রতি চালের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। ভালো মানের চিকন জাতের চাল ৬৭ থেকে ৭০ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা জাতের চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল থাকবে।